Logo

আন্তর্জাতিক    >>   এনআইএইচ-এর প্রধান হিসেবে জয় ভট্টাচার্যের মনোনয়ন: ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা

এনআইএইচ-এর প্রধান হিসেবে জয় ভট্টাচার্যের মনোনয়ন: ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা

এনআইএইচ-এর প্রধান হিসেবে জয় ভট্টাচার্যের মনোনয়ন: ট্রাম্পের নতুন ঘোষণা

ভারতীয় বংশোদ্ভূত এবং স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটির অধ্যাপক জয় ভট্টাচার্যকে মার্কিন স্বাস্থ্য গবেষণা সংস্থা ন্যাশনাল হেলথ ইনস্টিটিউটের (এনআইএইচ) প্রধান হিসেবে মনোনীত করেছেন নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ট্রাম্পের এই ঘোষণাটি গত ২৬ নভেম্বর প্রকাশিত একটি বিবৃতিতে জানানো হয়।

৫৬ বছর বয়সী জয় ভট্টাচার্য স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি স্কুল অব মেডিসিনের একজন অধ্যাপক। তিনি চিকিৎসক হওয়ার পাশাপাশি একজন দক্ষ অর্থনীতিবিদ। ভারতের কলকাতায় জন্ম নেয়া জয় উচ্চশিক্ষার জন্য যুক্তরাষ্ট্রে গমন করেন। ১৯৯০ সালে তিনি ব্যাচেলর অব আর্টস ডিগ্রি অর্জন করেন এবং পরে ডক্টর অব মেডিসিন (১৯৯৭) এবং অর্থনীতিতে পিএইচডি (২০০০) সম্পন্ন করেন। তার সমস্ত ডিগ্রিই স্ট্যানফোর্ড থেকে অর্জিত।

ট্রাম্পের মনোনয়ন ঘোষণার পর জয় ভট্টাচার্য সামাজিক মাধ্যমে লিখেছেন, “এই দায়িত্ব পেয়ে আমি সম্মানিত। আমরা আমেরিকার বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলো সংস্কার করব, যাতে মানুষের আস্থা পুনঃস্থাপিত হয়। বিজ্ঞানের সুফল কাজে লাগিয়ে আমেরিকাকে আবার সুস্থ করে তুলব।”

করোনা মহামারি চলাকালীন প্রথমবার শিরোনামে আসেন জয়। তখন তিনি টিকা বাধ্যতামূলক করায় আপত্তি জানিয়েছিলেন এবং হার্ড ইমিউনিটির পক্ষে মতামত দেন। তিনি মাস্ক এবং লকডাউনের বিরোধিতা করেছিলেন। তার এই অবস্থান বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং অনেক বিশেষজ্ঞের সমালোচনার মুখে পড়ে। তবে ট্রাম্প প্রশাসনের অনেকেই তার মতামত সমর্থন করেছিলেন।

২০২১ সালে জো বাইডেন প্রশাসনের করোনা সংক্রমণ মোকাবিলার কৌশলের তীব্র সমালোচনা করেন জয়। তার অভিযোগ ছিল, মার্কিন প্রশাসন সোশ্যাল মিডিয়ায় রক্ষণশীল ভাবনা দমন করছে। তার মন্তব্যের জন্য তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হয়। এ নিয়ে মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়।

জয় ভট্টাচার্যকে এনআইএইচ-এর প্রধান মনোনীত করার পেছনে ট্রাম্পের উদ্দেশ্য হলো যুক্তরাষ্ট্রের বৈজ্ঞানিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে সংস্কার আনা। ট্রাম্প প্রশাসন মনে করে, জয়ের অভিজ্ঞতা এবং দৃঢ় মনোভাব এ কাজে সাহায্য করবে।

জয়ের নতুন এই দায়িত্ব গ্রহণ এবং তার ভবিষ্যৎ কার্যক্রম আমেরিকার স্বাস্থ্য নীতিতে কী প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে এখন থেকেই নানা জল্পনা শুরু হয়েছে।